১৯৬৭ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন আন্তঃপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার) এর মাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি। অধিদফতরের বিশাল জনবলের প্রশিক্ষণ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ১৯৮১-৮২ সালে ‘আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে তিনটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কেন্দ্র তিনটির মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদফতরের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের বিভাগভিত্তিক নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯৯-২০০২ অর্থবছরে চট্রগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ‘আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এ তিন বিভাগে একটি করে তিনটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়সহ ৬৪টি জেলায় ও টি উপজেলায় অধিদফতরের প্রশাসনিক অবকাঠামো ও বিভিন্নমুখী কার্যক্রম রয়েছে যার জনবল ১২ হাজারের অধিক। এ অধিদফতরের অধীনে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতে ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের জাতীয় উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও জাতি গঠনমূলক কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের ছয়টি বিভাগে একটি করে ছয়টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে মাঠ পর্যায়ে অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বার্ষিক গড়ে ১৮টি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়। প্রতি কোর্সে ৩০ থেকে ৪০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ হিসেবে ০৬টি কেন্দ্রে প্রতি বছর আনুমানিক ৬০০০ প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৯৭টি কোর্সের মাধ্যমে ৩,৫৮৮ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৬১টি কোর্সের মাধ্যমে ১,৮৭২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের শুরু থেকে বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে জুন/ ২০২১ পর্যন্ত অধিদফতরের ২৮,২৯১ জন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে (১২+৮৫) ৯৭টি কোর্সের মাধ্যমে ৬টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক সর্বোমোট = ২৯০+২৪৪০ = ২৭৩০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণের ফলে বিশাল জনবল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমা©নে পেশাগত জ্ঞানের অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহ
প্রশিক্ষণকে কার্যকর ও ফলপ্রসু করার লক্ষ্যে আধুুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অনুসৃত প্রশিক্ষণ পদ্ধতিগুলো হচ্ছে,
ক্লাস লেকচার, আইস ব্রেকিং, রোলপ্লে, অনুশীলনী, ঘটনা সমীক্ষা, ফিডব্যাক, চিত্র প্রদর্শনী, ব্যক্তি/দলীয় আলোচনা ও উপস্থাপনা, দলীয় কাজ ও দলগত প্রতিবেদন এবং মাঠ পরিদর্শন।